বেদের মন্ত্র দ্রষ্টা নারী ঋষিগণ। জানুন তাদের পরিচয়।

বেদের-মন্ত্রদ্রষ্ট্রা-নারী-ঋষি

আমাদের সনাতন ধর্মে নারীদের সবকিছুতে সমতার দৃষ্টিতে দেখা হয়। তেমনি সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে পবিত্র বেদ মন্ত্রদ্রষ্ট্রা তে। কিন্তু আমাদের সমাজের কিছু কুচক্রী ধর্ম ব্যবসায়ী সনাতন ধর্ম কে নিজের শ্রেণীর ব্যক্তিগত ব্যবসায় রুপ দিয়েছিল নারী ও নিম্নবর্নের লোকের পবিত্র বেদ মন্ত্রে অধিকার নেই বলে। যার কারণে আজ আমাদের সমাজ সবকিছুতে পিছিয়ে আর অসংষ্কার , কুসংষ্কারে পরিপূর্ণ তবে আসুন জেনেনি শুধু অধিকার নয় , যে সকল মহান নারীর কারণে পবিত্র বেদের যে সকল মন্ত্র আমরা পেয়েছিঃ-

১/ ১ম মন্ডল১৭৯ সূক্তের দেবতা রতি, ঋষি অগস্ত্যের পত্নী লোপামুদ্রা।

২/ ৫মন্ডল ২৮ সুক্তের দেবতা অগ্নী, ঋষি অত্রিকন্যা বিশ্ববারা।

৩/ ৮মন্ডল ৯৬ সুক্তের দেবতা ইন্দ্র, ঋষি অত্রি কন্যা অপালা।

৪/ ১০মন্ডল ৩৯ ও ৪০ সুক্তের দেবতা অশ্বিদয়, ঋষি কক্ষিবত কন্যা ঘোষা।

৫/ ১০মন্ডল ৮৫ সুক্ত যা বিবাহ সূক্ত বলে খ্যাততার ঋষি সাবিত্রি সূর্যা।

৬/ ১০মন্ডল ১২৫ সুক্তের দেবতা আত্মা, ঋষি অশ্ভৃণ কন্যা বাকৃ।


৭/ ১০মন্ডল ১৮৫ সুক্তের দেবতা সপত্নীবাধন, ঋষি ইন্দ্রানী।

আমরা উপরে পেলাম সাত জননারী ঋষি যথাক্রমেঃ-লোপামুদ্রা ,বিশ্ববারা ,অপালা, ঘোষা, সূর্যা, বাকৃ এবং ইন্দ্রানী। আসুন তবে ভুলে যায় সেই প্রচলিত কথা যে বেদে মেয়েদের অধিকার নেই।
বেদের মন্ত্রদ্রষ্ট্রা ঋষিদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন। যাঁদের অধিকারই নাই তারা ঋষি এবং মন্ত্রদ্রষ্ট্রা হন কেমন করে? আসলে এগুলো অসাধু মহলের কারসাজি। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। আর আমাদের সকলেরই কর্তব্য পবিত্র বেদ প্রচারের মাধ্যমে সকলের সেই অশোধিত ঋষিঋণ শোধ করা
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post
close