হিন্দুদের যে সকল অবদান আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করে না।

হিন্দুদের যে সকল অবদান আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করে না।


"বেদ'ই শ্রেষ্ট বিজ্ঞান" এই কথা মান্য করা উচিৎ কারণ "বেদ থেকেই বিজ্ঞানের সৃষ্টি" অপরা বিদ্যা্ বিজ্ঞান বিদ্যা্ বেদশাস্ত্র হতে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এই অবদানকে আধুনিক বিজ্ঞান কোনভাবেই স্বীকার করে না। তার মূল কারণ আমরা নিজেরাই। কারন আমরা আমাদের বৈজ্ঞানিক সাহিত্য বৈজ্ঞানিক অবদানকে কোনদিন প্রচার করিনি। আমাদের শাস্ত্র গ্রন্থ কে লাল কাপড়, ফুল দিয়ে জড়িয়ে রেখেছি। সে সকল গ্রন্থের ভেতর কি তত্ত্ব জ্ঞান লুকিয়ে আছে তা আমরা কোনদিন জানার চেষ্টাই করিনি ।

জানবোই বা কিভাবে কারণ আমরা আছি ধর্মের নামে ভণ্ডামি করে। তবে আজ জানুন সেই সকল ঋষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রাপ্ত আবিষ্কারের কথা যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানে অন্যের নামে চালানো হচ্ছে ।

বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা ও ধর্মীয় বিশ্বাসে বলা হত বা বলা আছে যে পৃথিবী সম্পূর্ন স্থির বা নিশ্চল এবং বিভিন্ন বিখ্যাত প্রাচীন দার্শনিক, জ্যোতির্বিদ, বিজ্ঞানি, গণিতবিদ ইত্যাদি ব্যাক্তিবর্গকে দেখা যায় যারা বলে গিয়েছে পৃথিবী স্থির এবং সুর্য এর চারদিকে ঘূর্নায়মান।

টলেমী বিশ্বাস করতেন থিওরী অফ জিওছেনট্রিজম এর মতবাদটি হল— পৃথিবী একদম স্থির, আর সূর্য সহ সব গ্রহ-নক্ষত্র গুলো ঘুরছে পৃথিবীর চারিদেকে। এই মতবাদটি ষোরস শতাব্দি পর্যন্ত বিজ্ঞান হিসেবে টিকে ছিল। একসময় কোপার্নিকাস প্রমান করেন যে পৃথিবী স্থির না, বরং পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহ সুর্যের চারদিকে ঘূর্নায়মান তবে পৃথিবীর গতি যখন প্রমানিত হয় তখন বিজ্ঞান বলতে লাগল যে সুর্যই সম্পূর্ন স্থির, এবং পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহ সুর্যের চারদিকে ঘুরছে।

যাই হোক বহু সময় পার হওয়ার পর আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করল যে, এই মহাবিশ্বে  এমন কোন বস্তু নেই  যা পরম স্থিতি বা সম্পূর্ন ভাবে নিশ্চল হয়ে আছে , অর্থ্যাৎ বিজ্ঞান বলে যে সমগ্য সৃষ্টিই গতিশীল। এছাড়াও পৃথিবীর গতি নিয়েও নির্ভুল ভাবে ব্যাখ্যা আছে পবিত্র বেদে।

আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের যুগ এই কথা আমরা সবাই জানি। আমরা এই ও জানি যে পৃথিবীর সৃষ্টি ও বিজ্ঞান সম্পর্কে যা কিছুই জানি বিজ্ঞানের মাধ্যমেই এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা কি এটা জানি বিজ্ঞানের ও পূর্বেই যে এক বিজ্ঞান ছিল?

আর তা হল সনাতন ধর্মের আদি ও প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ যা সমগ্র মানবের জন্য পৃথিবীর সমগ্র সৃষ্টির জন্য প্রণীত রয়েছে।


                 বৈদিক বেদশাস্ত্রীয় ঋষি

(আর্যভট্ট (৪৭৬ খ্রিস্টপূর্ব)— গণিতশাস্ত্র আর জ্যোতির্বিদ্যা)।

(ভাস্করাচার্য (১১১৪ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টপূর্ব)— বীজগণিতে মহা পণ্ডিত (অ্যালজেবরা)।

(কণাদ (৬০০ খ্রিস্টপূর্ব)— পারমাণবিক তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা)।

(নাগার্জুন (১০০ খ্রিস্টপূর্ব)— রাসায়নিক বিজ্ঞান)।

(চরক (৬০০ খ্রিস্টপূর্ব)— ঔষধ বিজ্ঞান)।

(সুশ্রুত (৬০০ খ্রিস্টপূর্ব)— অস্ত্রোপচারের পুনঃসংযোজনবিদ (সর্বপ্রথম প্ল্যাস্টিক সার্জেন)।

(বরাহ মিহির (৪৯৯ থেকে ৫৮৭ খ্রিস্টপূর্ব)— বিখ্যাত জ্যোতিষী ও জ্যোতির্বেত্তা)।

(পতঞ্জলি (২০০ খ্রিস্টপূর্ব)— যোগ পণ্ডিত (ইংরেজিতে yoga)।

(ভরদ্বাজ (৮০০ খ্রিস্টপূর্ব)— ব্যোমযান প্রযুক্তিবিদ্যার বিজ্ঞ (বিমান সম্বন্ধী বিজ্ঞান)।

(কপিল (৩০০০ খ্রিস্টপূর্ব)— বিশ্বতত্ত্ব/সৃষ্টিতত্ত্বের মহা পণ্ডিত (ইংরেজিতে কসমোলজি)।
নবীনতর পূর্বতন